করোনার ভুয়ো রিপোর্ট তৈরী করে টাকা হাতানোর চক্রের হদিশ পেল পুলিশ

22nd May 2021 9:07 pm হুগলী
করোনার ভুয়ো রিপোর্ট তৈরী করে টাকা হাতানোর চক্রের হদিশ পেল পুলিশ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : করোনাকালে অসহায় মানুষ,একদিকে মৃত্যু মিছিল অন্যদিকে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই সময় কিছু অসাধু চক্র সক্রিয় হয়ে মানুষকে নানাভাবে প্রতারিত করছে। এমনই এক প্রতারনা চক্রের হদিশ পেলো চন্দননগর পুলিশ। করোনার ভুয়ো রিপোর্ট চক্র ধরল চন্দননগর পুলিশ। অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে চন্দননগর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী(৩২),অর্ঘ চ্যাটার্জি(৩৭).অর্ঘ হাওড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী।  বিনায়ক ডায়াগনস্টিক এবং হাওড়া স্পেসালিস্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথেও যুক্ত। অভিযোগ প্রসেনজিৎ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে। ১৭০০ টাকার বিনিময়ে ভুয়ো রিপোর্ট তৈরী করে দেয় বলে অভিযোগ । চন্দননগরের এক বাসিন্দা এদের কাছ থেকে করোনা পরীক্ষা করে প্রতারিত হন। তারপর তার অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দননগর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গতকাল রাতে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে ৫টি পিপিই কিট,আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টের খালি ফর্ম,৫০ টি কোভিড টেস্টিং কিট,ব্যবহৃত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের কিট,৪০ টি র‍্যাট কোভিড পরীক্ষার কিট ও ১০০টি সিলড ডিসপোজেভল সিরিঞ্জ উদ্ধার করে। এদের দুজনের বাড়ি চন্দননগরের সুভাষ পল্লী ও নাড়ুয়া রায় পাড়ায়।ধৃতদের পুলিশ জিজ্ঞাসা বাদ করছে তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা। শনিবার তাদের চন্দননগর স্পেশাল কোর্টে তোলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪২০ / ৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/ ১২০  বি আইপিসি এবং ৫২ ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।